Tuesday, May 21, 2024
Google search engine
সুস্থ থাকুনশরীরে ইউরিক অ্যাসিড এর পরিমান স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় খাবার

শরীরে ইউরিক অ্যাসিড এর পরিমান স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় খাবার

শরীরে ইউরিক এসিডের  পরিমাণ বিদ্ধি পেলে ভয়ংকর  হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই গেঁটেবাত থেকে বাঁচতে আপনার দরকার সঠিক খাবার গ্রহন। এখানে শরীরে ইউরিক এসিডের পরিমাণ সঠিক রাখতে প্রয়োজনীয় কিছু খাদ্য তালিকা দেয়া হল।

পানিঃ
পানি শরীরের ভেতরে থাকা অপ্রয়োজনীয় ক্ষতিকর দ্রব্য বের করে দেয়। এ ছাড়াও পানি শরীর থেকে বাড়তি ইউরিক এসিড অপসারণ করে। দৈনিক ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করার চেষ্টা করুণ।

চেরি ফলঃ
চেরিতে রয়েছে প্রদাহ রোধকারী anthocyanis যা শরীরে ইউরিক এসিডের পরিমাণ ঠিক রাখে। এটি ইউরিক এসিডকে বাঁধা প্রদান করে এবং হাড়ে anthocyanis মজুত করে ফলে গেঁটেবাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকেনা। এছাড়া ও যাদের গেঁটেবাত রয়েছে তাঁরা যদি নিয়মিত ২০০ গ্রাম চেরি খান তাহলে তাঁদের হাড়ে প্রদাহ জনিত ব্যথা অনেক অংশে কমে আসবে।

আপেলঃ
আপেলে রয়েছে মেলাইক এসিড , এ এসিড গেঁটেবাত প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে। মেলাইক এসিড একটি এন্টি ইউরিক এসিড ফলে এটি ইউরিক এসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত রাখে। আপনাকে প্রতিদিন খাবারের পর একটি করে আপেল খেতে হবে।

লেবুঃ
লেবুতে রয়েছে সাইট্রিক এসিড । সাইট্রিক এসিড শরীরে ইউরিক এসিডের পরিমাণ কমায়। প্রতিদিন তিন ভাগের একভাগ লেবুর রস ও বাকিটা পানি মিশিয়ে লেবু-পানির দুই গ্লাস শরবৎ পান করার চেষ্টা করুণ।

সিমের বীচির রসঃ
সিমের বীচির রস খেলে শরীরে ইউরিক এসিডের পরিমাণ কমিয়ে গেঁটেবাত হওয়ার ঝুঁকি কমানো যায়। প্রতিদিন দুইবার সিমের বীচির রস জুস করে খেলে গেঁটেবাতের ঝুঁকি অনেক অংশে কমে যায়।

বেরি জাতীয় ফলঃ
বেরি জাতীয় ফল বিশেষ করে স্ট্রবেরি ফল বাংলাদেশে এখন প্রচুর পাওয়া যাচ্ছে। সুতরাং আপনি স্ট্রবেরি ফল অথবা এর জুস খেতে পারেন। স্ট্রবেরি আপনার শরীরে প্রদাহ রোধকারী হরমোন বাড়াতে সাহায্য করে।

মটরশুটিঃ
মটরশুটিতে থাকে ফলিক এসিড , এ ফলিক এসিড আপনার শরীরের ইউরিক এসিডের পরিমাণ নিওন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে। ফলে আপনি মটরশুটি খেলে গেঁটেবাত থেকে বাঁচতে পারবেন। এ ছাড়া ও ফলিক এসিড পাওয়া যায় সূর্যমুখী বীজে ও মসুর ডালে।

আপেলের তৈরি ভিনেগারঃ
তাজা আপেলের থেকে তৈরি ভিনেগার খেলে আপনি অনেকটা ইউরিক এসিড নিওন্ত্রনে রাখতে পারবেন এবং গেঁটেবাত প্রতিহত করতে পারবেন। প্রিতিদিন তিন চামচ আপেলের ভিনেগার এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে দিনে ২ থেকে ৩ বার পান করুণ।

আপনি সঠিক খাবার গ্রহন ও প্রকৃত চিকিত্সার মাধ্যমে গেঁটেবাতকে অনেক আংসে প্রতিহত করতে পারবেন।

আরও পড়ুন-

এমন আরও কিছু আর্টিকেল

Google search engine

জনপ্রিয়