Tuesday, May 21, 2024
Google search engine
সুস্থ থাকুন৫টি উপায় ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে রাখার সহজ

৫টি উপায় ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে রাখার সহজ

ডায়াবেটিক এমন একটি রোগ যা প্রতিদিন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরী। বিশেষ করে ডায়াবেটিক প্রতিরোধ করার জন্য রক্তের শর্করার পরিমাণ সঠিক রাখা জরুরী।
তাই, অনেকেই রক্তের শর্করার পরিমাণ বারবার চেক করেন। রক্তের শর্করার পরিমাণ ঠিক রাখতে ও সুস্থভাবে জীবন-যাপনের জন্য ডায়াবেটিক অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এখানে, ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায় আলোচনা করা হল-
১. ডায়েট করা:
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে সহজ উপায় হল খাদ্যাভ্যাস এ পরিবর্তন করা। এছাড়াও এই অভ্যাস ডায়াবেটিক সংক্রান্ত বিভিন্ন জটিলতার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। যেসব মানুষের টাইপ ২ ধরণের ডায়াবেটিক রয়েছে তাদের কার্বো-হাইড্রেড ও চর্বির প্রতি খুব সতর্কতার সাথে লক্ষ্য রাখা উচিৎ। মোট প্রোটিন এর পরিমাণ নিরীক্ষণ করা ও ক্যালোরি হ্রাসের প্রতি যত্নবান হওয়া উচিৎ।
পথ্যব্যবস্থাবিদ্যাবিৎ দ্বারা একটি খাদ্য তালিকা করে নেয়া সবচেয়ে বেশি উপকারী। খাদ্য তালিকাটি এমন হতে হবে যাতে নিম্ন বিষয়গুলো রয়েছে-
# ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
# রক্তে শর্করার মাত্রা কন্ট্রোল করে।
# রক্তে লিপিডের মাত্রা কন্ট্রোল করে।
# অতিরিক্ত ঔষধ সেবনের সম্ভাবনা হ্রাস করে।
২. ব্যায়াম:
একজন ডায়াবেটিক রোগীর দৈনিক অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করার লক্ষ্য হওয়া উচিৎ। একজন ডায়াবেটিক রোগীর শক্তি প্রশিক্ষণ বা হাঁটা মত মধ্যপন্থী ব্যায়াম করা প্রয়োজন। ব্যায়ামের ফলে শরীরের ইনসুলিনের মাত্রা উন্নত হয়, রক্তের শর্করার পরিমাণ কমে যায় এবং শরীরের শর্করার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। তাই, ডায়াবেটিক রোগীদের অবশ্যই প্রতিদিন ব্যায়াম করার অভ্যাস করা উচিৎ।
৩. স্ট্রেস কমানো:
স্ট্রেস সকলের জন্য অনেক ক্ষতিকর। বিশেষ করে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য স্ট্রেস মারাত্মক ক্ষতি করে। কারন, এর ফলে তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেটে পারে। তাই, বিভিন্ন ধরণের মানসিক থেকে দূরে থাকার জন্য ডায়াবেটিক রোগীর ব্যায়াম, যোগব্যায়াম, ধ্যান ও কল্পনার মত কৌশল গ্রহণ করা উচিৎ।
৪. ঔষধ:
ব্যায়াম ও খাদ্যাভ্যাস এ পরিবর্তনের পরেও যদি ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে না আসে, তাহলে একজন ভাল ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মৌখিক ঔষধ সেবন করা উচিৎ। কিছু ঔষধ রয়েছে, যা শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে অগ্ন্যাশয় উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে। কিন্তু, এসকল ঔষধের কিছু পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এসব ঔষধ সেবনের ফলে ওজন বৃদ্ধি পায়। এর ফলে, ঔষধ তখনি সেবন করুন যখন ডাক্তার এতে সম্মতি প্রকাশ করে।
৫. ইনসুলিন:
অনেক ডাক্তার ইনসুলিন নেয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন। টাইপ ২ ডায়াবেটিক রোগীদের অবশ্যই ইনসুলিন নেয়ার কথা বলা হয়। কারন, উচ্চ রক্তচাপের ফলে অগ্ন্যাশয় কোষে ইনসুলিন কম পরিমাণে উৎপন্ন হয়। তাই, ইনজেকশনের মাধ্যমে ইনসুলিন শরীরে প্রবেশ করানো হয়। ইনসুলিন ডায়াবেটিক রোগীদের প্রাত্যাহিক জীবনের একটি বিশেষ অংশ হয়ে যায়।

আরও পড়ুন-

এমন আরও কিছু আর্টিকেল

Google search engine

জনপ্রিয়