আধুনিক নারী-পুরুষরা বেশ স্বাস্থ্য সচেতন বলে মনে করেন স্বাস্থ্যবিদরা। কিন্তু তারপরও বেশ কয়েকটি বিপজ্জনক শারীরিক সমস্যা পাত্তা দিতে চান না পুরুষরা। অথচ যেকোনো পুরুষের এমন সমস্যা হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য
বুকের ব্যথা :
বুকে ব্যথা তেমনটা পাত্তা দেন না পুরুষরা। অথচ পুরুষদের অধিকাংশ বুকে ব্যথা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হয়ে দেখা দেয়। অন্যান্য কারণও রয়েছে। নিউমোনিয়া বা অ্যাজমার কারণেও বুকে ব্যথা হতে পারে। পাশাপাশি বাড়তে থাকা স্ট্রেস এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের কারণেও বুকে ব্যথা হয়। পাকস্থলীর ক্যান্সার বা এসিডের কারণেও এ ব্যথা হতে পারে। ব্যথার কারণ না বুঝতে পারলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া :
হঠাৎ করেই শ্বাস নিতে সমস্যা হওয়া বহু পুরুষের স্বাভাবিক সমস্যা বলেই বিবেচিত হয়। কিন্তু বিষয়টা কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের সঙ্গে জড়িত। ফুসফুসের সমস্যা, ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস, এম্ফাইসেমা এবং অ্যাজমার কারণেও শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হয়।
অবসাদ :
এ অবস্থাকে দারুণ ক্লান্তিকর অবস্থা এবং ঘুমের অভাব বলেই মনে করেন অধিকাংশ পুরুষ। কিন্তু অবসাদ আরো খারাপ কিছুর লক্ষণ হতে পারে। ক্যান্সার, হৃদযন্ত্র নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়া, ডায়াবেটিস, আথ্রাইটিস, সংক্রমণ এবং কিডনি বা লিভারের রোগের লক্ষণ ফুটে উঠতে পারে অবসাদ ভর করার মাধ্যমে। কাজেই এদের কোনটা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হতে চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন।
বিষন্নতা :
বিভিন্ন জরিপে বলা হয়, পুরুষদের মাঝেই বেশি বিষণ্নতা দেখা যায়। এর কারণ হতে পারে, পুরুষরা বেশি বেশি বাইরে থাকেন এবং কাজ করেন। পরিবার ও সামাজিক পরিস্থিতি সামাল দিতে তাদের দেহ ও মস্তিষ্কের ওপর অনেক বেশি চাপ পড়ে। মূলত খুব বেশি পরিশ্রমে ক্লান্ত মস্তিষ্ক যখন নিউরোক্যামিলের চাহিদা অনুভব করে তখনই বিষণ্নতা ভর করে। এ সময় গোটা দেহে সেরোটোনিন, নরপাইনফ্রাইন, ডোপামাইন ইত্যাদি হরমোনের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার প্রয়োজন পড়ে। বিষণ্নতার সময় যতটুকু হরমোন রয়েছে তাদের মজুদ রাখতে মস্তিষ্ক মোটামুটি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। তখনই দারুণ মানসিক চাপে থাকে মানুষ।
স্মৃতিশক্তি হারিয়ে যাওয়া :
সাধারণ ঘটনার কথা বলা হচ্ছে না। যেমন- আপনি চেক বইটা কোথায় রেখেছন তা মনে করতে পারছেন না। বয়সের কারণে বড় কোনো ঘটনা একেবারেই মনে করতে না পারাটা আথ্রাইটিস, মস্তিষ্কে ক্ষত বা প্রদাহের কারণ হতে পারে।
মূত্রে সমস্যা :
পুরুষদের মূত্রের সঙ্গে রক্ত আসা বড় ধরনের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। প্রোস্টেট ক্যান্সার, কিডনিতে পাথর বা মূত্রথলিতে প্রদাহের কারণে এমনটা হতে পারে।