সাপের সঙ্গে ব্যাঙের বন্ধুত্ব শুনেছেন কখনও? না, শোনারই কথা। কারণ, খাদ্য-খাদকের সম্পর্কে ‘বন্ধুতা’ খোঁজা আর সোনার পাথরবাটি খোঁজা একই রকম পণ্ডশ্রম।
এটা আমাদের মনগড়া ধারণা। কারণ, আমরা ধরেই নিই শিকার আর শিকারির বন্ধুত্ব কখনোই সম্ভব নয়। কিন্তু, তা যে সম্ভব, তার জলজ্যান্ত প্রমাণ পাইথনের সঙ্গে গেছো ব্যাঙের বন্ধুত্ব। ‘শিকারি’র কাছেই সবচেয়ে নিরাপদ বোধ করে সবুজ রঙের গেছো ব্যাঙটি।
দু-জনেই সুবজ। একসঙ্গে খুনসুঁটি করতে করতে বেড়ে ওঠা। তাই, হয়তো এত বন্ধুত্ব। হয়তো বা রঙের আত্মীয়তা। পাইথনের সঙ্গে নিজের মতো খেলা করে ব্যাঙটি। তরতর করে গা বেয়ে ওঠা, শরীরের ভাঁজে দোল খাওয়া… যখন যা মনে হয়, তাই করে।
ভাববেন না, কোনও বানানো গল্প। আপন মনের মাধুরীতে সাজানো ছবি। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তার চিড়িয়াখানায় গেলে আপনাকে বলতেই হবে, বন্ধুতের কোনও পদবি হয় না।