এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: ব্যস্ত জীবনে খানিকটা সময়কে বাঁচাতে ফ্রিজের ব্যবহার অনস্বীকার্য। আর ফ্রিজের সাথে সম্পর্কটা যেহেতু খাবার সংরক্ষণের সেহেতু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি কোন ধরণের খাবার ফ্রিজে রাখতে হয় সেটাও জানা প্রয়োজন। তা নয় তো, দেখবেন আপনি যে খাবারটি সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজে রেখেছেন সেই খাবারটি হয়তো দ্রুত নষ্ট হয়ে আপনার ফ্রিজটাকেই নষ্ট করে দিলো। আবার এমন কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো খুব বেশি ঠান্ডায় রাখলে তার গুণাগুন নষ্ট হয়ে যায়। তাই জরুরিভাবে জেনে নিন, কোন খাবারগুলো ফ্রিজে রাখা একদম উচিত নয়।
১. আস্ত তরমুজ
আস্ত তরমুজ কখনো ফ্রিজে রাখতে যাবেন না। ২০০৬ সালে মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচারের একটি গবেষণায় দেখা যায়, তরমুজ ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হলে তার ভেতরের পুষ্টিমান অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। তাই আস্ত তরমুজ স্বাভাবিক তাপমাত্রায়ই সংরক্ষণ করুন। আর ফ্রিজে রাখতে চাইলে কেটে টুকরো করে রাখতে পারেন।
২. আলু
ফ্রিজের ঠান্ডা তাপমাত্রা আলুর ভেতরকার স্ট্রাচ নষ্ট করে দেয়। ফলে আলুর ভেতরকার সুগার কনটেন্ট বেড়ে যায় যা স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর এমন কি ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়!
৩. টমেটো
টমেটো সুস্বাদু একটি সবজি। বিভিন্ন খাবারের স্বাদ বাড়াতেও এর জুড়ি নেই। কিন্তু সেই টমেটোই যখন ফ্রিজে রাখা হয়, তার স্বাদ অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। তাই ভালো হয়, অল্প করে কিনে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখলে। এতে স্বাদ ও মান দুটোই অক্ষুণ্ন থাকবে।
৪. পিঁয়াজ
আস্ত পিঁয়াজ ফ্রিজে রাখতে যাবেন না। যদি দরকার হয় তাহলে কাটা পিঁয়াজ অল্প কিছুদিনের জন্য সংরক্ষণ করতে পারেন।
৫. মধু
মধু ফ্রিজে সংরক্ষণ করার দরকার নেই। খুব বেশি গরম বা ঠান্ডা মধুর স্বাদ ও গুণাগুণ নষ্ট করে দিতে পারে। তাই মধু স্বাভাবিক তাপমাত্রায়ই রাখুন।
৬. অলিভ অয়েল
বিভিন্নরকম রান্না বা সালাদ তৈরিতে অলিভ অয়েল ব্যবহার করা হয়। তবে অলিভ অয়েল কখনোই ফ্রিজে রাখবেন না। গাঢ় রঙের কন্টেইনারে ছায়াযুক্ত স্থানে অলিভ অয়েল সংরক্ষণ করুণ।
৭. কফির বীজ
কফির বীজ বা আস্ত কফি তার আশপাশের পরিবেশ থেকে আর্দ্রতা শুষে নেয়। তাই কফি ফ্রিজে রাখলে এর স্বাদ ও গন্ধে পরিবর্তন আসতে পারে। সেইসঙ্গে অন্যান্য খাবারের গন্ধও কফির গন্ধের সঙ্গে মিশে যেতে পারে।
৮. রসুন
আস্ত কিংবা কাটা রসুন ফ্রিজে রাখলে দ্রুত রসুনের স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। তবে চাইলে রসুন কুচি করে অল্প কয়েকদিনের জন্য বক্সে সংরক্ষণ করা যায়।