অনেকে বলেন বছরের শুরু যদি খারাপ যায় তাহলে পুরো বছরই এর রেশ থাকে। সত্যিই কি তাই? মোটেই নয়। বছরের একেক সময় এবং একেক মাস একেক রকমে কাটে সকলের। পরবর্তীতে পুরো বছরের হিসেব নিকেশে বের হয় বছরটি কি সত্যিই ভালো ছিল কি না। যদি মাস হিসেবে বিবেচনা করে তাহলে পুরো বছরের সবচাইতে খারাপ মাস হচ্ছে বছরের দ্বিতীয় মাস ফ্রেবুয়ারি। ভাবছেন কীভাবে? চলুন তবে জেনে নেয়া যাক কারণগুলো।
১) এই মাসটি না শীত না গরমের মাস:
শীতের শেষ হয়ে বসন্তের শুরু এই মাসেই। হুট করেই শীত পড়ে এবং হুট করেই গরম পড়ে। একেক দিনের একেক তাপমাত্রার কারণে অনেকেই ঠাণ্ডা-গর্মির সমস্যায় পড়ে রোগ বাঁধিয়ে ফেলেন। সুতরাং সমস্যা এই মাসে হবেই।
২) শীতের ছুটি শেষে পুরোদমে কাজকর্মের শুরু:
মূলত স্কুল কলেজের শীতের ছুটি জানুয়ারিতেই শেষ হয়ে যায়, কিন্তু একটু বেশি ঠাণ্ডার কারণে কাজকর্ম পুরোদমে শুরু হয় না। শীতের আলসেমি জানুয়ারি মাস পুরোটাই দখল করে রাখে। কিন্তু ফেব্রুয়ারির না ঠাণ্ডা না গরমে সব কাজ একেবারেই পুরোদমেই শুরু হয়।
৩) শীতের আলসেমির খারাপ দিকগুলো এই মাস থেকেই টের পাওয়া যায়:
ছুটির সময়ে আলসেমি করার ফলে শরীরে যে মেদ জমে তা কিন্তু শীতের পোশাকের নিচেই ঢাকা থাকে। এই ফেব্রুয়ারি মাসে যখন শীতের পোশাক পরা কমানো হয় তখন কিন্তু শীতের আলসেমির ফল ঠিকই শরীরে দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও সকালে একটু বেশি ঘুমিয়ে অভ্যাস খারাপ হয়ে যাওয়ায় ঠিকই এই মাসে কর্মক্ষেত্রে এবং স্কুল কলেজে পৌঁছুতে দেরি হয়ে যাওয়ার সমস্যা শুরু হয়।
৪) ভ্যালেন্টাইনস ডে:
সঙ্গী থাকুক বা না থাকুক সকলের জন্যই ফেব্রুয়ারি মাস পুরোটাই খারাপ যায় এই দিনটির জন্য। যাদের সঙ্গী নেই তারা অন্যদের হাত ধরে ঘুরতে দেখে নিজের একাকীত্ব অনেক বেশি অনুভব করে মন খারাপ করে থাকেন। আবার, যাদের সঙ্গী আছে তারা এই ভ্যালেন্টাইনস ডে’এর খরচের কথা ভেবে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েন।
৫)২৯ ফেব্রুয়ারি:
খুবই বিরক্তিকর এই ফেব্রুয়ারি মাস প্রতি ৪ বছরে ২৯ দিনের হয়। আপনি হয়তো মনেও রাখতে পারবেন না এই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসটি কি ২৯ না ২৮ দিনের। পুরো হিসেব কষে মাথায় রাখার মতো ব্যাপার। আর যারা এই ২৯ ফেব্রুয়ারি জন্মেছেন তাদের দুঃখের সীমা নেই, কারণ ৪ বছর পর পর তারা পালন করতে পারেন তাদের জন্মদিন।
৬) এই মাসের দুটি দিন নেই:
অন্যান্য মাসের চাইতে এই ফেব্রুয়ারি মাসে ২/৩ দিন কম। একটি কাজ করতে যদি পুরো মাস অর্থাৎ ৩০/৩১ লাগে এই মাসে আপনাকে কাজটি করে ফেলতে হবে মাত্র ২৮ দিনে। যারা ঔষধের কোর্স করছেন তারা পরের মাসে গিয়ে ঠিকই হিসেবে গণ্ডগোল পাকিয়ে ফেলবেন। কারণ, এই মাসটির যে দুটি দিন নেই তা অনেক সময়েই মাথায় থাকে না।