Sunday, October 13, 2024
Google search engine

১ শহরে ১ পুলিশ, তাও অন্ধ ১০বছর যাবত

লানবা, ২৮ জুলাই- চীনের শহর লানবা, যেখানে গত ১০ বছরে একটাও কোনও অপরাধ হয়নি। ওই শহরে, একজন মাত্র পুলিশ আছেন। তিনি একাই সারা শহর টহল দিয়ে বেড়ান। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল ওই পুলিশকর্মী কিন্তু গ্লুকোমায় চোখ হারিয়েছেন ২০০২ সালে। অর্থাৎ অন্ধ।

তার পরেও চাকরিটি আছে। আছে, কারও করুণায় নয়। আছে তার দক্ষতায়। যিনি একা একটা শহরকে এমন ঠান্ডা রাখতে পারেন, তাকে সরানো হবেই বা কেন! তাই দৃষ্টিশক্তি হারালেও, পুলিশের কাজটি রয়েছে তার। প্রতিদিন নিয়ম করে পুলিশের পোশাকে বেরিয়ে পড়েন। সঙ্গে থাকেন স্ত্রী।

দক্ষিণ পশ্চিম চীনের শহর লানবা। সেখানে গেলে আপনার সঙ্গে নিশ্চিত ভাবেই দেখা হবে বছর তেতাল্লিশের ওই পুলিশ অফিসার প্যান ইয়ংয়ের। যিনি দৃষ্টি হারালেও, নিজের কাজের শহরটাকে চেনেন হাতের তালুর মতো। চেনেন সেখানকার মানুষগুলোকে। তাই, সিয়া চং পুলিশ স্টেশনের ওই একমাত্র পুলিশ কর্মকর্তাকে সরানোর চেষ্টা হয়নি।

সিয়া চং রেলওয়ে স্টেশনকে ঘিরে চারপাশের ৩৮ কিলোমিটার এলাকা। যার মধ্যে পড়ছে ৩টি প্রশাসনিক গ্রাম, ১৩টি ছোট গ্রাম, যার দায়িত্বে প্যান। গত ১০ বছরে সেখানে না হয়েছে কোনও খুন-খারাবি, না চুরি-ছিনতাই, না কোনও দুর্ঘটনা! তবে, এর নেপথ্যে আরও একজনের নীরব ভূমিকা রয়েছে। তিনি প্যানের স্ত্রী তাও হংগিং। বছর ৪৬-এর ওই মহিলা লোকাল রেলওয়ে স্টেশনের রক্ষী। রোজই পুলিশ স্বামীর সঙ্গে তিনিও সারা শহর চক্কর মারেন।

সিয়া চং রেলওয়ে স্টেশনকে ঘিরে চারপাশের ৩৮ কিলোমিটার এলাকা। যার মধ্যে পড়ছে ৩টি প্রশাসনিক গ্রাম, ১৩টি ছোট গ্রাম, যার দায়িত্বে প্যান। গত ১০ বছরে সেখানে না হয়েছে কোনও খুন-খারাবি, না চুরি-ছিনতাই, না কোনও দুর্ঘটনা! তবে, এর নেপথ্যে আরও একজনের নীরব ভূমিকা রয়েছে। তিনি প্যানের স্ত্রী তাও হংগিং। বছর ৪৬-এর ওই মহিলা লোকাল রেলওয়ে স্টেশনের রক্ষী। রোজই পুলিশ স্বামীর সঙ্গে তিনিও সারা শহর চক্কর মারেন।

এই প্যান চোখ হারিয়ে একসময় বিমর্ষ হয়ে পড়েছিলেন। ধরে নিয়েছিলেন, জীবন শেষ। জীবনের সেই চরম হতাশার সময়ে পাশে পান তাওকে। প্যানের কথায়, তাওয়ের সঙ্গে বিয়ের পর, ও ভরসা দিল। নতুন করে বাঁচতে শিখলাম। ও না থাকলে, কবেই হারিয়ে যেতাম! কৃতজ্ঞচিত্তে বলছিলেন প্যান। চিনের ওই শান্ত শহরে, তাদের এখন সুখের দাম্পত্য।

আরও পড়ুন-

এমন আরও কিছু আর্টিকেল

Google search engine

জনপ্রিয়