সমীক্ষায় জানা যায়, বিভিন্ন দেশে নানা রকম ক্যানসারের মধ্যে পুরুষদের প্রস্টেট ক্যানসার হয় সবচেয়ে বেশি৷ অথচ কিছুটা সচেতন হলেই এই ক্যানসারকে দূরে রাখা সম্ভব৷ জেনে নিন কিভাবে৷
ব্রকোলি ও অন্যান্য সবজি
টরন্টোর ‘জার্নাল অফ দ্য ন্যাশনাল ক্যানসার ইন্সটিটিউট’-এ প্রকাশিত এক গবেষণার ফলাফলে জানানো হয়, ব্রকোলি, ফুলকপি ও সবুজ শাক-পাতা প্রস্টেট ক্যানসারকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে৷ গবেষণায় দেখা যায়, যাঁরা ব্রকোলি, ফুলকপি ও শাক-পাতা খেয়েছেন প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি তাঁদের ক্ষেত্রে আসলেই বেশ কম৷
ওমেগা-৩
ওমেগা-৩ প্রস্টেট ক্যানসারকে দূরে রাখতে সহায়তা করে৷ এ তথ্য জানা গেছে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণার ফলাফল থেকে৷ তাতে বলা হয়, যে সমস্ত পুরুষ প্রতি সপ্তাহে একাধিকবার স্যামন মাছ খান, তাঁদের প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি শতকরা ৬৩ ভাগ কম, যাঁরা এ মাছ খাননি তাঁদের তুলনায়৷ তবে যাঁদের এই মাছ পছন্দ নয়, তাঁরা বিকল্প হিসেবে স্যামন মাছের তেল দিয়ে তৈরি ওমেগা-৩ ক্যাপসুল খেতে পারেন৷
আখরোট ও বেদানা
অন্যান্য অনেক অসুখের মতো খাবার-দাবারের সাথে প্রস্টেট ক্যানসারেরও সম্পর্ক রয়েছে৷ তাই বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, প্রস্টেট ক্যানসারকে দূরে রাখতে মাংস এবং দুধ কম খেয়ে বেশি করে বেদানা ও আখরোট খান৷ বেদানা ও আখরোটে যে উদ্ভিদ উপাদান রয়েছে, তা প্রস্টেট টিউমার বড় হতে বাঁধার সৃষ্টি করে থাকে৷
পলিফেনলযুক্ত পানীয়
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পলিফেনলের মতো অরগ্যানিক উপাদান থাকা পানি বা জল প্রস্টেট ক্যানসারকে দূরে রাখতে সহায়তা করে৷ যেমন টমেটোর রস, গ্রিন টি বা সবুজ চা, ঔষুধি চা, আঙুরের রস এবং বীট-পালং ইত্যাদিতে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে পলিফেনল৷
কোলেস্টোরল কমাতে হবে
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের করা একটি গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, যে সব পুরুষের কোলেস্টোরলের মাত্রা ২২ মিলি গ্রামের নীচে, তাঁদের প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি অন্যান্যদের তুলনায় ৬০ ভাগ কম৷ স্বাস্থ্যকর খাবার এবং ব্যায়ামের মধ্য দিয়ে কোলেস্টোরলের মাত্রা কমাতে পারলে প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকিও কমে যেতে পারে৷
প্রয়োজন ভিটামিন ডি
সূর্যের তাপের মাধ্যমে শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হয় আর ভিটামিন ডি প্রস্টেট ক্যানসারের চিকিৎসার একটি কার্যকর অংশ৷ ইউরোলজিস্টদের মতে, ‘পিএসএ’ নামের একটি রাসায়নিক উপাদানের ক্ষরণ বেড়ে গেলে প্রস্টেট ক্যানসারের আশঙ্কা বেড়ে যায়৷ প্রসঙ্গত, ব্রিটেনের পুরুষদের প্রস্টেট ক্যানসার হয় সবচেয়ে বেশি৷ তারপর অ্যামেরিকা এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে জার্মানি৷