যারা ব্যায়াম করে তাদের শরীরে হয়তো সব পেশিই বৃদ্ধি পায়। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে ঘাড়ের পেশি বৃদ্ধি হয় না। তখন তাকে পেন্সিল নেক বলে। পেন্সিল নেকের কারণ হচ্ছে, ব্যায়ামের ফলে অন্যসব পেশি বেশি বেড়ে যায় এবং রক্ত চলাচলের পরিমাণ ওই সব পেশিতে বেড়ে যায়, ঘাড়ে রক্ত চলাচল তেমন মাত্রায় বাড়ে না তখন নেক বা ঘাড় চিকন হয়ে যায়। এর ফলে পরবর্তী পর্যায়ে, ৪০ বছরের পর, স্পনডিলাইটিসের সমস্যা দেখা যায়। ঘাড় দুর্বল হওয়ার ফলে ব্যথা হয়। দেখতেও বাজে লাগে। তাই যারা নিয়মিত ব্যায়াম করে তারা অবশ্যই ঘাড়ের ব্যায়াম করবে। সপ্তাহে অন্তত এক দিন হলেও এই ব্যায়াম করতে হবে। এই ব্যায়ামটি নিয়মিত করলে নেকটা দেখতে সুন্দর দেখাবে।
আজ মঙ্গলবার (১০ মার্চ ২০১৫) ১৯৭০তম পর্বে এনটিভির স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ‘সুস্থ দেহ সুস্থ মন’ বিভাগে এই ব্যায়াম দেখিয়েছেন কমব্যাট জিমের প্রশিক্ষক খসরু পারভেজ রুমি।
ব্যায়াম
টেবিল মেশিনে হুকিং দিয়ে গোল করে বেল্ট লাগিয়ে নেবেন। বেল্টটি মাথায় আটকাবেন। এরপর মাথাটা নিচের দিকে নেবেন এবং দৃষ্টি নিচের দিকে দেবেন।
এরপর আবার মাথা উঁচু করে ওপর দিকে দৃষ্টি দেবেন। সম্পূর্ণ বিষয়টি কেবল ঘাড়ের পেশি দিয়েই নিয়ন্ত্রণ করবেন।
এই ব্যায়ামে কখনো শিড়দাড়ার (স্পাইন) ওপর দিকে চাপ দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। কোমর নিচু করে ব্যায়াম করবেন না। ঘাড়ের হাড়ের গঠন বা পেশির গঠন অন্যান্য পেশির মতো শক্তিশালী নয়। এর ফলে এসব জায়গায় আঘাত পাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
আবার যেহেতু ঘাড়ের পেশি খুব ছোট তাই প্রথম দিকে ব্যায়ামের সময় ভার বা ওজন না নেওয়াই ভালো। ঘাড়ের পেশি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেলে, ঘাড় ও কানের সামঞ্জস্য চলে এলে তখন ভার নিতে পারবেন। আর যদি সামঞ্জস্য না আসে তবে কখনোই ভার নেবেন না।