অনেকেরেই অভ্যাস আছে রাত জাগার। রাত জেগে কম্পিউটার কিংবা টিভি দেখেন আর দিনে পড়ে পড়ে ঘুমান। এটি মোটেও ভালো অভ্যাস নয়। আপনি কি জানেন, রাত জাগার কারণে ক্যান্সারও হতে পারে?
রাত জাগার অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। অনেকেই রাতে সহজে ঘুমাতেই পারেন না। অনেক সময় দেখা যায় ঘুমের বড়ি খেয়েও ঘুম আসছে না। এর কারণ বদঅভ্যাস। এই বদঅভ্যাসের কারণে অনেকেই রাত জেগে কম্পিউটারে বসে থাকেন অথবা টিভি দেখেন। আবার অনেকেই গল্পের বই নিয়ে বা মোবাইলে কথা বলে সময় কাটান। আর তারা আবার দিনের বেলায় পড়ে পড়ে ঘুমান। দিনে তাদের হাজার বার ডাকলেও ওঠেন না, তখন তারা মহা এক ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে থাকেন। এমন পরিস্থিতি মোটেও সুখকর নয়।
শরীর সুস্থ্য রাখার জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় অবশ্যই ঘুমাতে হবে। কারণ শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য বিশ্রামের প্রয়োজন। প্রধানতঃ রাত্রে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টার টানা ঘুম যে কোনো ব্যক্তির শরীরকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু, আপনি কি জানেন রাত জাগার কারণে ভেঙে দিতে পারে আপনার শরীরকে চিরতরের জন্য? জেনে নিন এবং যত দ্রুত সম্ভব এই অভ্যাসগুলি বদলে ফেলুন। কারণ চিকিৎসকরা বলে থাকেন বেশি রাতজাগার কারণে মানবদেহে ক্যান্সারের মতো কঠিন রোগ বাসা বাঁধতে পারে।
রাত জেগে মোবাইলে কথা বলা:
সারাদিন দীর্ঘ পরিশ্রমের পর রাতে খুব ভাল একটি ঘুম দেওয়া। কিন্তু বেশির ভাগ সময় দেখা যায়, স্বাভাবিক বিশ্রাম না নিয়ে রাতের বেশিরভাগ সময় ফোন অথবা ইন্টারনেটে সময় কাটান৷ এই কাজটি আমাদের শরীরের সঠিক বিশ্রামটি নষ্ট করে দেয় ও ধীরে ধীরে অসুস্থ করে তোলে। তখন শরীরে নানা সমস্যা তৈরি করে। যা দীর্ঘস্থায়ী সমস্যায় ধাবিত হয়ে থাকে।
রাত জেগে টিভি দেখা:টিভি দেখাটাও এক ধরনের নেশা। মাঝেমধ্যে বা ছুটির দিন রাত্রিবেলা টিভি দেখলে সেটি শরীরে কোন খারাপ প্রভাব ফেলে না। কিন্তু প্রত্যাহ রাত জেগে টিভি দেখা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এর ফলে শরীরে নানা ধরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
রাত জেগে বই পড়া:
অনেকেরই অভ্যাস রয়েছে রাত জেগে বই পড়ার। বই পড়া কিন্তু এক ধরনের নেশা। যে কারণে যতক্ষণ না বইটি শেষ হচ্ছে, ততক্ষণ তিনি বই পড়তেই থাকেন। যে কারণে শরীরের সঠিক বিশ্রাম হয় না। তাছাড়া শরীরে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতাও দেখা দিতে পারে।
এইসব বদঅভ্যাসগুলি ত্যাগ করতে না পারলে আপনার শরীরের নানা ক্ষতি হবে। এমনকি এসব সমস্যা চিরস্থায়ীও হয়ে যেতে পারে। তাছাড়াও বেশি রাত জাগার ফলে মানসিক রোগ এমনকি ক্যান্সারের মত মারণব্যধি হওয়াও অস্বাভাবিক কিছু নয়। তাই চিকিৎসকরা বলেন, রাতে একটি নির্দিষ্ট সময় অবশ্যই ঘুমাতে হবে। অন্তত রাতে ৬ ঘণ্টা অবশ্যই ঘুমাতে হবে। চিকিৎসকরা বলেন, এই সময়টুকু ঘুম না পাড়লে শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।