Sunday, May 19, 2024
Google search engine
সুস্থ থাকুনবিভিন্ন সমস্যা থেকে বাঁচতে চাইলে বাঁ-পাশ ফিরেই ঘুমান

বিভিন্ন সমস্যা থেকে বাঁচতে চাইলে বাঁ-পাশ ফিরেই ঘুমান

অম্বলে গলা-বুক জ্বলছে? যা খাচ্ছেন, তাতেই বদহজম? বা, ধরুন এমনও কি হচ্ছে, আয়নার সামনে দাঁড়ালে মনে হচ্ছে, দ্রুত বুড়িয়ে যাচ্ছেন, মানে, বয়সের তুলনায় বেশ বয়স্ক লাগছে?

উত্তর যদি ‘হ্যাঁ’ হয়, আর একটা প্রশ্ন আপনাকে। একটু ভেবে বলুন তো, রাতে কী ভাবে ঘুমান? মানে, কোনও দিকে ফিরে? যদি, ডান দিকে ফিরে বা চিত্‍‌ হয়ে অথবা উপুড় হয়ে ঘুমোনোর অভ্যাস আপনার থাকে, দ্রুত তা বদলান। চেষ্টা করুন বাঁ-দিকে ফিরে শোওয়ার।

আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ঘুম যে খুবই জরুরি, এ নিয়ে কারও দ্বিমত থাকার কথা নয়। কিন্তু, মাথায় রাখতে হবে, কতক্ষণ আমরা ঘুমোতে পারলাম, দিনে ছ-ঘণ্টা না আট ঘণ্টা, তার চেয়ে অনেক বেশি জুরুরি কী ভাবে আমরা ঘুমালাম। গবেষকরা বলছেন, আপনি কীভাবে শুচ্ছেন, তা প্রবল ভাবেই আপনার স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। দেখা গেছে, যাঁর বাঁ-দিকে পাশ ফিরে ঘুমান, তাঁদের ত্বকে তারুণ্য বজায় থাকে। হজমশক্তিও তাঁদের অনেকগুণ বেশি। এসব না হয় বাদ দিন, জীবন সুরক্ষিত রাখতেও বাঁদিকে ফিরে শোওয়াটা জরুরি।

বিশেষজ্ঞদের কথায়, কেউ চিত্‍ হয়ে শোবে না পাশ ফিরে, উপুড় হয়ে ঘুমোবে না সোজা হয়ে, যার যার ব্যক্তিগত পছন্দের ব্যাপার। এটা একটা অভ্যেসও। গবেষণায় দেখা গেছে, চিত্‍‌ হয়ে ঘুমালে, শ্বাস-প্রশ্বাসে অনেক বেশি বাধা সৃষ্টি হয়। বিশেষত, যাঁদের স্লিপ অ্যাপনিয়ার মতো অসুখ আছে, তাঁদের চিত্‍ হয়ে শোওয়া অনুচিতই।‌

কেন বাঁ-দিকে ফিরে শোবেন
আপনার মনে হতেই পারে, শুধু কী ভাবে ঘুমালাম, তার ওপর গ্যাস-অম্বল-লাবণ্য-তারুণ্য-সুস্বাস্থ্য… এত কিছু নির্ভর করে? হ্যাঁ, করে। উপরের ছবিটি দেখলেই বুঝতে পারবেন, বাঁ-দিক ও ডান দিকে ফেরার মধ্যে শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়ায় কী ধরনের পার্থক্য তৈরি হয়। বাঁদিকে ফিরে শোওয়ার সব থেকে বড় যে সুবিধা, আপনার পাকস্থলী টক্সিন ফিল্টার করার জন্য অনেক বেশি সময় পায়। উলটো দিকে, ডান দিকে ফিরে শুলে, লিম্ফেটিক সিস্টেমকে মন্থর করে তোলে। ঠিক করে, লিম্ফেটিক সিস্টেম কাজও করতে পারে না। যার জন্য টক্সিনকে ঠিকমতো পরিস্রুত করতে পারে না। লিম্ফ ফ্লুইড চলাচলের পথেও বাধার সৃষ্টি হয়। যার জন্য প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

কী ভাবে অভ্যাস করবেন

চাইলেই রাতারাতি পারবেন না বাঁদিকে ফিরে শুতে। তবে, কয়েকটি কৌশল নিলে, সহজেই অভ্যস্ত হয়ে উঠবেন। প্রথমেই যেটা করবেন, রাতে বাঁদিক ফিরে শুয়ে, আপনার ডান দিকে পিঠ ঘঁষে পাশবালিশ রাখুন। তাতে ডান দিকে ফিরতে গেলে, পাশবালিশে বাধা পেয়ে, মনে পড়ে যাবে। প্রথম প্রথম কয়েক দিন ডান দিকে নাইট ল্যাম্প জাতীয় কিছু একটা জ্বেলে রাখুন। তাতে, ডান দিকে ফিরতে গেলে, চোখে আলো লাগবে। আপনি আপনা থেকেই আবার বাঁদিকে ফিরে যাবেন। এইসময়

আরও পড়ুন-

এমন আরও কিছু আর্টিকেল

Google search engine

জনপ্রিয়