জেন পার্সিকে ১৯৯৫ সাল থেকে নোর্থামবারল্যান্ডের পাতিহংসী বলা হয়। এটি একটি বংশপরম্পরায় পাওয়া একটি হাস্যকর টাইটেল। সে বসবাস করে হ্যারি পটার মুভির হোগওয়ার্ট স্কুলের মতো একটি ক্যাসেলে। সেই ক্যাসেলের পেছনেই রয়েছে একটি বিশাল বিষাক্ত বাগান।
জেন পার্সির এই বিশাল বাগানটি বিষাক্ত এবং নিষিদ্ধ গাছগাছালিতে পুর্ণ। কয়েক বছর আগে জেন পার্সি স্কটল্যান্ডের মধ্যযুগীয় একটি স্কটিশ হাসপাতালে ভ্রমণ করেন। সেখানে অ্যালনিয়াক দুর্গের ভেতর একটি নিষিদ্ধ বাগান দেখেন। সেই বাগানটিও বিষাক্ত গাছে পুর্ন ছিল এবং তার বাইরে স্মিথসোনিয়ান জাদুঘর কর্তৃপক্ষের লেভেল দেওয়া ছিল ‘বিশ্বের সবচেয়ে বিপদজনক বাগান’। এখান থেকে তিনি চিন্তা করেন যে, তিনি এই রকম একটি বাগান তৈরি করবেন তার বাড়িতে। জেন পার্সি তার এই বাগান সম্পর্কে বলেন, আমি মনে করি এটি বাচ্চাদের জানতে এবং বুঝতে চেষ্টা করবে যে, কিছু গাছ তোমাকে মেরে ফেলতে পারে আবার কিছু গাছ তোমার জীবন রক্ষা করতে পারে। জেন পার্সির এই বাগানের সামনের গেইটে একটি ক্রসবোন মাথার খুলির বিপদজনক চিহ্ন দেওয়া রয়েছে এবং সেখানে লেখা আছে ‘ এই গাছগুলো তোমাকে মেরে ফেলতে পারে’। জেন পার্সির এই বাগানে রয়েছে প্রায় ১০০ প্রজাতির বিষাক্ত গাছ তারমধ্যে রয়েছে হেমলক, পপি, ফক্সগ্লোভ এবং ক্যাস্টর অয়েল সহ আরো অনেক বিষাক্ত গাছ।
এই গাছগুলোর মধ্যে জেন পার্সির একটি প্রিয় গাছ হলো অ্যাঞ্জেল ট্রাম্পেট। এই গাছটির সৌন্দর্য আপনাকে এমনভাবে বিমোহিত করবে যে আপনি তার গন্ধ নিতে এগিয়ে যাবেন আর সেই গন্ধই আপনাকে ধ্বংস করতে যথেষ্ট। জেন পার্সি স্মিথসোয়ানের কাছে একটি বিশেষ লাইসেন্স চেয়েছেন এই গাছগুলোর দেখাশোনার জন্য কেননা তার এই বাগানে ক্যানাবি আর কোকেইনের মতো নিষিদ্ধ গাছও রয়েছে। দর্শনার্থীদের এই গাছগুলো ধরা, গন্ধ নেওয়া নিষেধ। উল্লেখ্য যে, এরিমধ্যে সাতজন ব্যক্তি এই বাগানের ভেতর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার পর মস্তিস্কজনিত সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন।