Sunday, October 13, 2024
Google search engine

সবচাইতে রহস্যময় ও ব্যাখ্যাহীন ঘটে যাওয়া ঘটনা

প্রিথিবিতে ঘটে যায় নানা অজানা ঘটনা যা আমাদের অজানা। চলুন জেনেনেই কিছু অজানা ঘটনা ।
১/অজানা অসুখ

হাঁপানিতে আক্রান্ত হয়ে ২০০৯ সালে মেম্ফিসের এক হাসপাতালে ভর্তি হন ২৮ বছর বয়সী সানায়া। চিকিত্সা দেওয়া হয় তাকে। তবে কিছুতেই কিছু কাজ হয়না। দ্রুত ওজন কমতে থাকে তার। শরীর চুলকাতে থাকে এবং শরীর ধীরে ধীরে কালো হয়ে যেতে থাকেন। অনেক চেষ্টাতেও কিছু না হওয়ায় বাল্টিমোরের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে যান এবং সেখানেই নিজের চিকিত্সা করাতে থাকেন। এখনো অব্দি চিকিত্সা চালিয়েও খুব বেশি লাভ হচ্ছেনা। এখনো পর্যন্ত অদ্ভুত এই অসুখটির নাম বের করতে পারেননি চিকিত্সকেরা।

২/প্যাটোমস্কি ক্র্যাটার
ভ্লাদিম কোলপাকভ বেরিয়েছিলেন ঘুরতে। প্রায়ই নতুনকে আবিষ্কারের নেশায় এমনটা ঘোরাফেরা করতেন তিনি। সে সময় তিনি খোঁজ পান এই ক্র্যাটারের। ২৫ তলা দালানের সমান এই ক্র্যাটার সম্পর্কে আশপাশের মানুষদের একটিই কথা ছিল। আর সেটি হল ওখানে যেওনা।শয়তানের জায়গা বলে মনে করত স্থানটিকে ঐ অঞ্চলের মানুষেরা। আর সত্যিই প্রায় ২৫০ বছর বয়স্ক জায়গাটিকে দেখে কোলপাকভের খটকা লেগেছিল। এমন নতুন কি করে দেখতে হয় এটা? আর কি করেই বা তৈরি হয়েছিল? ২০০৫ সালে একদল অনুসন্ধানী গিয়েছিলেন পটোমস্কি ক্র্যাটারের কাছে কিছু প্রশ্নের খোঁজে। তবে সেখানে যাওয়ার আগেই দলটির দলনেতা মারা যান।
/অজব আলো
১৯৯৭ সালের কথা। হ্যারল্ড ডেল তার পরিবারের সাথে বাইরে গিয়েছিলেন।ঠাৎ ভেসে থাকা তিনটি আলো চোখে পড়ে তার। আকাশে ভেসে থাকা আলোগুলো একটু পরপরই নিজেদের রঙ বদলাচ্ছিল। কেবল হ্যারল্ডই নয়। ১৯৮০ সাল অব্দি প্রায় প্রতি সপ্তাহেই এই আলোকে দেখতে হয়েছে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে। হ্যাসডেলেনের আলো নামে পরিচিত আলোটি লাল, হলুদ, নীল- নানা রঙ ধারন করতে পারে। এখন যদিও কমে গিয়েছে ব্যাপারটি, আজ অব্দি এই আলোর রহস্য ধরা যায়নি ।
৪/এরিয়া ৫১
আমেরিকান বিমান বাহিনীর আওতায় থাকা নাভাডায় অবস্থিত এই স্থানটি অনেকটাই বেশি সুরক্ষিত রাখা হয় আরো দশটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গার চাইতে। কেন? আজ অব্দি কোন উত্তর মেলেনি। কী হয় এর ভেতরে? জানেনা কেউ। মাঝে মাঝে অদ্ভুত সব যান দেখার কথাও বলেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। অনেকেই ধরে নিয়েছেন ওগুলো ইউএফও বা পৃথিবীর বাইরে থেকে আগত। জায়গাটির প্রচন্ড কড়া নিরাপত্তা ও এরকম অদ্ভুত অদ্ভুত ঘটনা হাতের কাছের এই জায়গাটিকেও করে ফেলেছে অনেক বেশি রহস্যময়!
৫/টাওস হাম
১৯৯৭ মেক্সিকোতে হঠাৎ করেই একটা সুক্ষ্ণ আর তীব্র শব্দ পেল নিউ মেক্সিকোর টাওস শহরের কিছু মানুষ। শব্দটি কেমন ছিল, সঠিক বিবরণ কখনোই জানা যায়নি। কারণ তার আগেই পাগল কিংবা কালা হয়ে পড়েছিলেন শব্দ শুনতে পাওয়া মানুষগুলো। শুধু মেক্সিকোতে নয় এমনটা হয়েছে পৃথিবীর আরও কিছু স্থানে।তবে টাওসের ঘটনাটি সবার মনযোগ কাড়ে অনেক বেশি। এরপরেই শুরু হয় শব্দের উত্সগুলোর খোঁজ। খোঁজা হয় অনেকে, অনেক বিজ্ঞানীর দ্বারা। কিন্তু কেন এই শব্দ হয়, কি এর উত্স আজ অব্দি জানা যায়নি।
৬/জোডিয়াক লেটারস-
১৯৬০ ও ৭০ এর দিকে একদল অপরাধীকে পাওয়া যায় যারা সান ফ্রান্সিসকোর আশেপাশেই তাদের কার্যক্রম চালাতো। কিন্তু এত নাম থাকতে তাদের নাম জোডিয়াক কেন? কারণ আর কিছু না। ধাঁধার প্রতি তাদের ভালোবাসা। পুলিশ অফিসারদেরকে নিয়ম করে কিছু চিঠি পাঠাতো তারা। সেগুলো ভেঙে তাদের মানে বের করা ছিল দুঃসাধ্য। তিনটে চিঠির মানে অনেক চেষ্টা করে বের করা হয়েছিল। তবে সেগুলোর কোন মানেই ছিলনা। কিংবা কে জানে হয়তো সেই অর্থটা চিঠির আসল অর্থ ছিলই না! তবে যাই হোক। এখনো অব্দি চিঠিগুলোর মানে না জানাই রয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন-

এমন আরও কিছু আর্টিকেল

Google search engine

জনপ্রিয়