যে সমস্যায় আইনও ফেল, তার প্রতিরোধে অনেকটা ধাপ এগোল বিজ্ঞান। ধর্ষণ রুখতে এবার শুরু হতে পারে কাঁটা বিশিষ্ট কনডমের ব্যবহার। আর কোনও নারীকে ধর্ষণ করতে গেলে দু’বার ভাবতে হতে পারে ধর্ষককে। পেশির জোরে যেভাবে বেড়ে চলেছে এই ঘৃণ্য অপরাধ, তার জবাব দিতে প্রকাশ্যে আসতে হতে পারে এই কনডমকে।
এই কনডম সিলিন্ডার আকৃতির। এটা একটা শোষক পদার্থ হিসেবে কাজ করে। কোনও পুরুষ যদি নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌনসঙ্গমে মিলিত হওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে এই কনডম প্রতিরোধ করবে এবং পুরুষাঙ্গের ক্ষমতা হ্রাস করবে।
এমন কনডম পরিহিত কোনও নারী ধর্ষণের সম্মুখীন হলে, সেই পুরুষের পুরুষাঙ্গ এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে যে অস্ত্রোপচার ছাড়া আর কোনও গতিই নেই। হয়তো ধর্ষককে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে।
র্যাপেক্স নামের এই কনডমটির আবিষ্কারক সোনেট এহলারস। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার নারী। তিনি দেশটির একটি রক্তদান কেন্দ্রে কাজ করতে গিয়ে এটি আবিষ্কারের চিন্তা করেন। ওই সময় তিনি অনেক ধর্ষিতা নারীর সাক্ষাৎ পেয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রথমে এর নাম RAPEX থাকলেও ২০০৬ সালে পরিবর্তন করে Rape-aXe রাখা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই কনডমকে বিপজ্জনক বলেও সতর্ক করেছিল।
সোনেট এহলারসের এই কনডম নারীরা পরে থাকে। এটি একটি প্লাস্টিকের খাপের মতো। এর ভেতরে তরল নির্যাস থাকবে। এছাড়া ভেতরে তীর বা বল্লমের মতো বাকানো একটা পদার্থ থাকবে। কোন পুরুষ যদি নারীকে ধর্ষণ করতে উদ্যত হন তাহলে এর ভেতরে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করলেই বিপদের সম্ভাবনা থাকে। এর ফলে ওই পুরুষ যন্ত্রণা অনুভব করবেন।
বাধ্য হয়ে ধর্ষণকান্ড থেকে সরে আসবেন। এই কনডম নারীকে গর্ভবতী হওয়া থেকেও বিরত রাখবে। এইচআইভি ভাইরাসের মতো জীবাণু ছড়ানোরও কোনও আশঙ্কা নেই। ২০০৫ সালে এই কনডমের খবরটি জানা গেলেও ২০০৭ সালে বেশি করে উৎপাদন করা হয়। তবে এখনও এটি প্রকাশ্যে বাজারে বিক্রি হচ্ছে না। কবে হবে তাও জানা যায়নি। কারণ বিশেষজ্ঞরা এই ধরনের পদার্থকে ভয়ঙ্কর বলে উল্লেখ করেছেন।