দাম্পত্য জীবনের পুরোটাই থাকুক মধুময়তায় ভরা। সবার চাওয়া থাকে কোনো কারণে যেন ছেদ না পড়ে সে সংসারে। কিন্তু সময়ের প্রবহতায় কারণে অকারণে নানা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সম্মুখিন হতে হয়। দিনে দিনে ভাটা পড়ে ভালোবাসার জোয়ারে।
কখনো দুজনের মনই মিইয়ে যায়, আবার কখনো একপক্ষ শান্ত থাকলেও অপরপক্ষ ঝুঁকে পড়ে পরকীয়ার মোহে। একই ছাদের নিচে থেকে কখনো বোঝা যায় আবার কখনো আজীবন থেকে যেতে হয় ধোঁকার আড়ালে। তাই আপনার সঙ্গী পরকীয়া করুক আর নাইবা করুক, আজীবন ভালোবাসাকে প্রাণবন্ত রাখতে কিছু দায়িত্ব থেকেই যায়। যেমন…
ভালো সঙ্গী হোন:
সঙ্গীর কাছ থেকে মন উজাড় করা ভালোবাসা পেতে হলে প্রথম শর্ত ভালো সঙ্গী হওয়া। আপনি যদি যথেষ্ট যত্নশীল সঙ্গীনী হতে পারেন, আপনার ভালোবাসায় বেঁধে রাখতে পারেন সঙ্গীর সব চাওয়াকে, তবে আপনিও তার ভালোবাসায় সিক্ত হওয়ার যোগ্য। তাই আগে নিজে ভালো সঙ্গীনী হোন, দেখবেন সঙ্গীও আপনার ভালোবাসার স্বীকৃতি দিচ্ছে।
পরিচ্ছন্ন থাকুন:
বিয়ের পর অনেক মেয়ে ভাবেন সাজগোজের দরকার নেই। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় তাদের মনোযোগ থাকে না মোটেও। কিন্তু অমোঘ সত্য হল, সুন্দরের প্রতি টান থাকে সবার। নিজের অগোছালো সঙ্গীনীর বিপরীতে কোনো পরিপাটি মেয়ের সঙ্গ পেলে পুরুষের মন গলবেই। তাই সচেতন হোন এখনি।
অকারণ সন্দেহ নয়:
কারণে-অকারণে সঙ্গীর চরিত্র নিয়ে সন্দেহ করা থেকে বিরত থাকুন। আর সন্দেহ যদি লাগেই, সেটা তার সামনে প্রকাশ না করে সঠিক তথ্য যাচাইয়ের চেষ্টা করুন। সবসময় এটাই প্রকাশ করুন যে আপনি তাকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন।
দূরে যাওয়া নয়
একটু ঝগড়া হলেই রাগারাগি করে আলাদা থাকা নয়। কথা বলা বন্ধ বা আলাদা কামরায় ঘুমালে দুরত্ব বাড়বে ছাড়া কমবে না। তাই ঝগড়া হলে আরও বেশি কাছাকাছি থাকুন, আরও বেশি দায়িত্ব পালন করুন। এতে ঝগড়া মিটে যাবে সহজে।
অন্যের সঙ্গে তুলনা নয়:
অপরের সঙ্গে তুলনা করে সঙ্গীকে হীনমন্যতায় ফেলে দেয়া ঠিক নয়। প্রতিটি মানুষের নিজস্বতা আছে। তাই তার সম্মান বজায় রেখে ভালোমন্দ নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে পারেন। অন্যের সঙ্গে তুলনা করে সঙ্গীর মনে কষ্ট দেয়ার অর্থ তাকে দূরে ঠেলে দেয়া।
শারীরিক ভালোবাসা:
দাম্পত্যে ভালোবাসা অটুট রাখার জন্য যৌন সম্পর্কে আকর্ষণ ধরে রাখা খুবই জরুরি। নিজের ও সঙ্গীর চাহিদা অনুযায়ী নিজেদের এই সম্পর্কের উন্নতি ঘটানোর চেষ্টা করুন। সুন্দর পোশাক, একটু ভিন্নতা ও অনেকটা ভালোবাসা দিয়ে সজীব রাখুন শারীরিক প্রেমকে।