বেশি খেলে পেট স্ফীত হয়। ঈদের সময় আত্মীয়স্বজন আর বন্ধুদের বাড়ি ঘুরে ফিরলেই পেটে পড়বে নানা স্বাদের আকর্ষণীয় নানান রকমের সব খাবার। বেশ পেট পুরেই খাবেন নিশ্চয়। খেতে খেতে কারও বা মনে হবে আরেকটু খেলে বোধ হয় পেটই ফেটে যাবে! কিন্তু বেশি খেলে কী আসলেই পেট ফাটতে পারে? ভয় নেই!
বেশি খেলেও পেট বিস্ফোরিত হওয়া প্রায় অসম্ভব ঘটনা। ‘গালপ’ নামের বইয়ের লেখক ম্যারি রোচ বিজনেস ইনসাইডারকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে এ তথ্য জানিয়েছেন।
রোচ দাবি করেন, সাধারণত পেটে গড়ে এক লিটার বা চার কাপ খাবার ধরে। পেটে কতটা খাবার ধরে তারও একটা সীমা রয়েছে। উগরে আসার আগ পর্যন্ত পেটে সাধারণত এক গ্যালন বা চার লিটার পর্যন্ত খাবার ধরানো যায়। কিন্তু কিছু কিছু ব্যতিক্রম আছে বলেও মনে করেন তিনি। অনেক মানুষ বমি ভাব উপেক্ষা করেও খেতেই থাকেন। এতে তাদের পেট ফেটে যাওয়ার মতো অবস্থায় পৌঁছে।
এনবিসি নিউজের এক খবরে বলা হয়, পেট ফাটার ঘটনা তখনই ঘটতে পারে যখন পাঁচ লিটারের বেশি খাদ্য বা পানীয় খাওয়া হয়।
কিন্তু কিছু মানুষ তো আরও বেশি খেতে পারেন? তাদের ক্ষেত্রে কী হয়? যাঁরা ‘ইটিং ডিসঅর্ডার’ সমস্যার ভোগেন তাদের এমনটা দেখা যায়। বেশি খেয়ে খেয়ে তাঁদের পেটের মাংসপেশি প্রসারিত হয়ে যায়। মস্তিষ্কও এ সময় খাবারের সংকেত গ্রহণ করে না। খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কে সংকেত পৌঁছায় না বলেই ইচ্ছামতো অনেক বেশি খেতে পারেন তাঁরা। বমি ভাব উপেক্ষা করেও যাঁরা বেশি খান তাঁদের পেটে জমা খাবারগুলো পেটের দেওয়ালে চাপ বাড়ায় এবং পেট ফাটার অবস্থা তৈরি করে।