Tuesday, April 30, 2024
Google search engine
কিছু কথামাত্র বিদেশ থেকে বাংলাদেশে গিয়েছি।

মাত্র বিদেশ থেকে বাংলাদেশে গিয়েছি।

কিছু দিন আগের কথা,আমি সবে মাত্র বিদেশ থেকে বাংলাদেশে গিয়েছি। অনাক দিন পর বাংলাদেশ এসেছি তাই ভাবলাম
দেশটাকে ঘুরে দেখতে হবে।তাই আর দেরি না করে বাসা থেকে বেরিয়ে পরলাম।প্রথমে গেলাম নিজের গ্রামের বাড়ি,তারপর সেখান থেকে
কক্সবাজার,সেন্টমারটিন,চট্টগ্রাম সব ঘুরে আবার বাসায় ফিরে এলাম। এসব টুরগুলো আমার জীবনের খুব ভাল একটা টুর ছিল। আমি
অনেক মজা করেছি। ভাবলাম আমি আর কথাও ঘুরতে বের হব না।শুধু বাসায় বসে বিশ্রাম করবো। কিছু দিন তাই করছিলাম।
হঠাৎ করে আমার পাগল ভাগিনা আমাকে বললো সে নাকি আমাকে রাজশাহী নিয়ে যাবে। আমি কিছুটা ভাবলাম,তারপর
মন স্থির করলাম। গেলে ভালই হবে,নতুন জায়গা নতুন কিছু দেখতে পারব। নিজের ভাগিনা টাকে পাগল বললাম কারণ
ও হলো একজন গায়ক ফোঁক গান করে, মাথা ভর্তি কোঁকড়ানো লম্বা লম্বা চুল,তবে ভাল গান গায়।তবে ও আমরা খুব ভাল বন্ধু
বটে। ওর ভাবটা অনেকটা বাউল শিল্পীদের মত ভাব তবে ও ডিজিটাল বাউল। তারপর টিকেট কাটা হল। আমি আর আমার ভাগিনা রাজশাহী তে যাচ্ছি। দারুন একটা
আনুভুতি কাজ করছিলো। ট্রেনে ওঠার পর ব্যাপারটা আরও চরমে গেল। চারদিকে শুধু পাখি আর পাখি। মাথাইতো নষ্ট হয়ে গেল।
ভাগিনাতো বলেই ফেললো এতোগুলো সুন্দরীদের ভিড়ে আমার কিনতু ভালই লাগছে। ভালোতো আরও লাগলো যখন দেখি আমাদের মুখমুখি সামনের ছিটে একটা পাখি বসে আছে। আমিতো বলেই ফেললাম বাহ ভালতো। ট্রেন চলছে আমিও পাখিটাকে তাকিয়ে তাকিয়ে
দেখছি। ভাবলাম আজকে কিছু একটাতো করতেই হবে। যেই ভাবা সেই কাজ পাখিটা কে লক্ষ করে বিভিন্ন মজার মজার
গল্প বলা শুরু করলাম। আর পাখিটার দিকে তাকালাম,দেখলাম পাখিটা আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসি দেয়।সেজে কি
ভঙ্গিমা না দেখলে বোজানো যাবে না। এভাবে করে অনেটা সময় পেরিয়ে গেল। আমিতো ভাবলাম যাক এবার কিছু একটাতো হয়েই যাবে আমার সাথে। দেখলাম বই ফেরিওলার
কাছ থেকে ও কিছু বই কিনল। নাহ অনেক হইসে এবার কথা বলতে হবে। বললাম আচ্ছা তুমি কি বই কিনলে? পাখিটা বলে
সমরেশের কিছু বই। আমাকে কি একটু দিবে, আমি একটু দেখতাম। দিয়ে দিল। কিসের কি বই দেখা, বই উল্টাই আর ওরদিকে
তকাই দেখি মুচকি হাসি দেয়। বললাম ভাল বই কিনেছ। উত্তরে হম। আমি বললাম আমিও ওর লেখা অনেক পছন্দ করি।
ঈশ আবার হাসে। দুমিনিট পর পাখিটা আমাকে বলল ভাইয়া আপনার মোবাইলটা একটু দেয়া জাবে।আমি তো পুরাই শেষ।
দিয়ে দিলাম কোন কথা না বলে। আর ভাবলাম মনে হই আমাকে ওর নাম্বারটা নিজেই সেভ করে দিবে। অথবা আমার নাম্বার
থেকে ওর মোবাইলে কল দিবে।অথবা আমাকে এসএমএস করবে। ভেবে আর কুল পাইনা।দেখি ও কাকে জানি ফোন দিল।
কথা বলা শেষ করে আমাকে ধন্যবাদ দিল। বলল ওর মোবাইলে চার্জ নাই। আমিতো একটা মুচকি দিয়ে বললাম থিক আছে।
আরে একি রাজশাহীতে দেখি চলে এসেছি। টেরি পেলাম নাহ। যাই হক ঝটপট করে কিছু কথা সেরে নিতে হবে না হলে সবই যাবে।
বললাম তমাকে কেও নিতে আসবে না। বলল হ্যাঁ ভাইয়া।এত্ত লাজুক করে কেন যে আমাকে ভাইয়া বলে ডাকে ভেবে পাই না।
নিতে আসবে ওইতো ও এসে গেছে। আমি বললাম ও মানে। পাখিটা
ছেলেটা কে দেখিয়ে বললো,ও আমার বয়ফ্রেনড। ওকেই তো ফোন করে ছিলাম আপনার মোবাইল থেকে আমাকে নিতে আসার জন্ন। কথাটা শুনে মনে
হল মেয়ে তো পুরাটাই হিট।আর আমিতো ফিট……………………………।!!!!!!!

“গাধা বন্ধু”

আরও পড়ুন-

এমন আরও কিছু আর্টিকেল

Google search engine

জনপ্রিয়