যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন সুপারমার্কেটে ডিম রেফ্রিজারেটরে রাখা হয় না। কিন্তু এর বিপরীত অবস্থা দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে ডিমগুলো ফ্রিজে খুবই নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে রাখা হয়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
ডিমের মাধ্যমে ছড়াতে পারে স্যালমোনিয়া নামে একটি ব্যাকটেরিয়া। যা যুক্তরাষ্ট্রের ফুড পয়জনিংয়ের অন্যতম কারণ। আর এ ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে ভিন্ন পদ্ধতির কারণে ডিম ফ্রিজে ও ফ্রিজের বাইরে রাখা হয়।
ডিম কোথায় রাখা উচিত, এ বিষয়ের আইনগত বিশ্লেষণে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী সুপারমার্কেটে বিক্রির আগে ডিম (গ্রেডেড এগ) ধুয়ে জীবাণুমুক্তকরণ রাসায়নিক স্প্রে করে নিতে হয়। এরপর তা দ্রুত ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার নিচের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। এ ছাড়া ডিমটি এরপর স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখা যায় না। কারণ ডিমটি যদি ঘেমে যায় তাহলে এতে আবার ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করতে পারে। এটি স্যালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধের জন্য করা হয়।
কিন্তু ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে এ নিয়ম প্রযোজ্য নয়। যুক্তরাজ্যে ডিম ধোয়ারও কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এ ছাড়া ডিম সংরক্ষণের তাপমাত্রা ১৭ থেকে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর কাছাকাছি থাকলেই চলে। এর কারণ হিসেবে আয়ারল্যান্ডের খাবার নিরাপত্তাবিষয়ক কর্তৃপক্ষ জানায়, ধোয়ার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ডিমের বাইরে থেকে ব্যাকটেরিয়া ভেতরে প্রবেশ করতে পারে। তার বদলে ডিমে যেন ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ না হয় সে জন্য তারা ডিমপাড়া মুরগিকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করে। এ ছাড়া ফ্রিজে ডিম রাখা হলে তা বের করার পরে রান্নায় দেরি করলে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত হতে পারে।
স্যালমোনিয়া ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ অতীতে যুক্তরাজ্যে ছিল। সে সময় তারা মুরগিকে এ ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করে। ফলে এ ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ যুক্তরাজ্যে বিরল। তার পরও কিছু কৃষক মুরগিকে এ ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী টিকা দেয়।