চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির সাবেক সেনা ওয়াং জিয়ানলিন। আজ তিনি চীনের রিয়েল স্টেট মোগল এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় সিনেমা চেইন অপারেটর। তিনিই চীনের সেরা ধনী। হংকংয়ের বিজনেস ম্যাগনেট লি-কা শিংয়ের সঙ্গে ধনীর প্রতিযোগিতায় এগিয়ে ওয়াং। তিনিই এশিয়ার শীর্ষ ধনী। এখানে এই মানুষটি সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিন।
১. ১৯৭০-১৯৮৬ পর্যন্ত ওয়াং চীনের সেনাবাহিনীতে কাজ করেন। সেখানকার অভিজ্ঞতা তাকে দিয়েছে স্ট্রেস দূর করার শিক্ষা এবং লক্ষ্যে অটল থাকার সক্ষমতা।
২. ১৯৮৮ সাল থেকে ওয়ান্দা গ্রুপের চেয়ারম্যান ওয়াং। আজ ওয়ান্দা গ্রুপ চীনের সর্ববৃহৎ রিয়েল এস্টেট ডেভেলপমেন্ট। দালিয়ান ওয়ান্দা গ্রুপকে নিজের করতে তিনি ৮০ হাজার ডলার ধার করেছিলেন।
৩. এখন পর্যন্ত ওয়ান্দা হোটেলস অ্যান্ড রিসোর্টস কোং লি. গোটা চীনে ৭১টি ফাইভ স্টার এবং বিলাসী হোটেল বানিয়েছে। সিডনি, লন্ডন, শিকাগো এবং লস অ্যাঞ্জেলসে ওয়াংয়ের বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ রয়েছে। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পাঁচতারকা হোটেলের মালিক।
৪. বর্তমানে ওয়ান্দা গ্রুপ লন্ডনে একটি হোটেল ও অ্যাপার্টমেন্ট ভবন বানাচ্ছে যা ৬০তলা হবে। এটা থেকে লন্ডন আই এবং ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবে দেখা যাবে।
৫. এ গ্রুপের একটি অংশ ওয়ান্দা কালচার ইন্ডাস্ট্রি গ্রুপ। এটি থিম পার্ক, পারফরমিং আর্টস এবং ফিল্ম টেকনোলজির ব্যবসা করে। এটাই চীনের বৃহত্তম সাংস্কৃতিক এন্টারপ্রাইজ। এদের বছরে রেভিনিউ ৫.৫ বিলিয়ন ডলার।
৬. ওয়াংয়ের ট্রেডমার্ক সম্পত্তি হলো ওয়ান্দা প্লাজা। চীনের প্রধান প্রধান শহরে ১০০টি স্থানে ওয়ান্দা প্লাজা রয়েছে। এটাই চীনের সবচেয়ে বড় চেইন স্টোর।
৭. শুধু চীনেই ওয়ান্দা গ্রুপের ১৫০টি সিনেমা থিয়েটার রয়েছে। এ ছাড়া আমেরিকা, কানাডা, জাপান এবং অন্যান্য দেশে রয়েছে ৩৮০টি থিয়েটার।
৮. চীনের বৃহত্তম কারাওক চেইন ‘সুপারস্টার’ ওয়ান্দা গ্রুপের। বর্তমানে ৯০টি স্থানে এর শাখা রয়েছে। এ বছরের শেষ নাগাদ আরো ৪০টি স্থানে নতুন শাখা খুলে যাবে।
৯. এ বছরের প্রথম দিকে ওয়াং স্প্যানিশ ফুটবল ক্লাব অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের ২০ শতাংশ স্টেক কিনে নিয়েছেন যার মূল্য ৫২ মিলিয়ন ডলার।
১০. ওয়াংয়ের একটিমাত্র ছেলে ওয়াং সিকং। চাইনিজ মিডিয়া ২৭ বছর বয়সী এই তরুণের নাম দিয়েছে ‘দ্য ন্যাশনাল হাজবেন্ড’। তার চাল-চলনের জন্যে বাবা পশ্চিমা সংস্কৃতিকে দোষারোপ করেন।
১১. ওয়াং সিকং অতিমাত্রায় অর্থ, সেক্স এবং ভায়োলেন্সের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ তোলেন অনেকে। সম্প্রতি সিকং তার কুকুরের ছবি দেন সোশাল মিডিয়ায়। কুকুরটি দুটো সোনার অ্যাপল ওয়াচ পরেছিল যার প্রতিটির দাম ১০ হাজার ডলার।
১২. ২০১৩ সালে ৫০৩ মিলিয়ন ডলার দিয়ে সানসিকার ইয়ট কেনেন ওয়াং। ব্রিটেনের বিলাসী ইয়ট নির্মাতা এটি বানিয়েছে। জেমস বন্ডের সিরিজে এই ইয়টটি কয়েকবার দেখানো হয়েছে।
১৩. আকাশপথে ভ্রমণের জন্যে ওয়াংয়ের রয়েছে দুটো গাল্ফস্ট্রিম ৫৫০ জেট। এদের প্রতিটি রোলস রয়েস ইঞ্জিন দিয়ে বানানো। এগুলো দিয়ে তিনি বেইজিং থেকে জাপানে ভ্রমণ করেন।
১৪. সম্প্রতি শিল্প সংগ্রহের দিকে ঝুঁকেছেন ওয়াং। ২০১৩ সালে পিকাসোর ‘ক্লড অ্যান্ড পালোমা’ কিনেছেন ২৮ মিলিয়ন ডলারে।
১৫. সম্প্রতি তিনি লায়নসগেট এবং মেট্রো-গোল্ডউইন-মেয়ার ফিল্ম স্টুডিওর বড় একটি অংশের মালিক হতে কথা-বার্তা বলছেন।